করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রন আসার পর ভারত আবারও মহামারির কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। ইউরোপের মতো ভারতেও গত এক সপ্তাহের শনাক্তের হার সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ওমক্রিন সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে।

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, গত ২ দিনে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ৮৪ শতাংশের দেহেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। খবর এএনআই।
তিনি বলেন, ‘আজ দিল্লিতে ৪ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমানে ২০২ জন করোনা রোগী দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
ভারতে গত সাত দিনে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ৪৩০.৮৩ শতাংশ। ২৮ ডিসেম্বরের পর থেকেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ২৮ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮ জন। এর মাত্র সাত দিন পর অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় পৌঁছেছে ৩৩ হাজার ৭৫০-এ। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪৩১ শতাংশ।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৩৩ হাজার ৭৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এসময় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১ হাজার ৮৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে মোট ৬ হাজার ১৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৩ জনে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) ভারতে ২৭ হাজার ৫৫৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এই হিসেবে সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮২ জন।
এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণও বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত নভেম্বরে ভারতে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনার এই ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০০ জনে।
রোববার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ভারতে করোনার এই নতুন ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫২৫ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেশি। এ পর্যন্ত দেশটিতে ওমিক্রনে মোট সংক্রমিত ১ হাজার ৭০০ জনের মধ্যে ৫১০ জনই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
0 coment rios: