সর্বশেষ

Monday, January 3, 2022

ওমিক্রন: ফের আসছে বিধিনিষেধ

ওমিক্রন: ফের আসছে বিধিনিষেধ

 


করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ফের বেড়ে যাওয়ায় আবারও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ সোমবার বিকালে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, কেউ টিকা না নিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে পারবে না। গণপরিবহনে আসন কিছু ফাঁকা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত রাখতে বলা হয়েছে। যাতে করে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফের যাতে লকডাউনে যেতে না হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার ইস্যু করা হবে।

প্রয়োজন হলে আবারও ক্লাস বন্ধ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রয়োজন হলে আবারও ক্লাস বন্ধ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

 

করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের কারণে প্রয়োজনে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি এই কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাক্ষণই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি আমরা মনে করি, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের স্বার্থে ক্লাসের সংখ্যা আবার কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, কমিয়ে দেব, বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন, বন্ধ করে দেব। সবই প্রয়োজন বুঝে করব।’


শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মার্চ পর্যন্ত না দেখে তাঁরা বলতে পারবেন না যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে কার্যক্রম চালু করতে পারবেন কি না। তবে গতবারের চেয়ে কোনো কোনো ক্লাস বাড়ানো হয়েছে। আগে কোনো কোনো ক্লাসে যেখানে এক দিন ক্লাস হতো, সেখানে একাধিক দিন হয়েছে।


বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় আছে উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, তারপরও অমিক্রনের একটি ধাক্কা শুরু হয়েছে। সেই ঢেউয়ে বহু উন্নত দেশও পর্যুদস্ত। পাশের দেশেও সংক্রমণের বড় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

বাংলাদেশে এখনো আশঙ্কাজনক জায়গায় নেই। সংক্রমণের হারও কম। কিন্তু এটি ১ শতাংশে নেমে এসেছিল। সেখান থেকে বেড়েছে। অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীও শনাক্ত হয়েছে। কাজেই এখন অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি জরুরিভাবে মেনে চলতে হবে।


করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধের পর গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও এখনো স্বল্প পরিসরে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।




ভারতে করোনায় সাত দিনে ৪৩১ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি

ভারতে করোনায় সাত দিনে ৪৩১ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন ওমিক্রন আসার পর ভারত আবারও মহামারির কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। ইউরোপের মতো ভারতেও গত এক সপ্তাহের শনাক্তের হার সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ওমক্রিন সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে।

ভারতে করোনায় সাত দিনে ৪৩১ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, গত ২ দিনে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে ৮৪ শতাংশের দেহেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। খবর এএনআই।

তিনি বলেন, ‘আজ দিল্লিতে ৪ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমানে ২০২ জন করোনা রোগী দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’

ভারতে গত সাত দিনে করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ৪৩০.৮৩ শতাংশ। ২৮ ডিসেম্বরের পর থেকেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ২৮ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮ জন। এর মাত্র সাত দিন পর অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় পৌঁছেছে ৩৩ হাজার ৭৫০-এ। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৪৩১ শতাংশ।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৩৩ হাজার ৭৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এসময় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১ হাজার ৮৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে মোট ৬ হাজার ১৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৩ জনে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) ভারতে ২৭ হাজার ৫৫৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এই হিসেবে সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮২ জন।

এদিকে ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণও বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত নভেম্বরে ভারতে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনার এই ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০০ জনে।

রোববার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ভারতে করোনার এই নতুন ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫২৫ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেশি। এ পর্যন্ত দেশটিতে ওমিক্রনে মোট সংক্রমিত ১ হাজার ৭০০ জনের মধ্যে ৫১০ জনই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা।
ধনসম্পদ বৃদ্ধি, মহাকাশযাত্রা, সমুদ্রে ভাসা ও বিচ্ছেদের বছর

ধনসম্পদ বৃদ্ধি, মহাকাশযাত্রা, সমুদ্রে ভাসা ও বিচ্ছেদের বছর


 ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনার ব্যাপক প্রভাব পড়লেও অধিকাংশ অতিধনীই বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই মহাকাশযাত্রা ও সমুদ্রবিলাসে প্রচুর অর্থ খরচ করেছেন। এর পাশাপাশি বউ কিংবা বান্ধবীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণেও বিদায়ী ২০২১ সালে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন অতিধনীদের কেউ কেউ।




ধনসম্পদ বৃদ্ধি, মহাকাশযাত্রা, সমুদ্রে ভাসা ও বিচ্ছেদের বছর

করোনা মহামারিকালে বিশ্বের অতিধনীরা আরও ধনী হয়েছেন। একটি হিসাবমতে, বিদায়ী বছরে শীর্ষ ১০ বিলিয়নিয়ার তথা অতিধনীরই সম্পদ বেড়েছে ৪০ হাজার কোটি ডলার। গত বছরে তাঁদের অনেকেই বিপুল অর্থ ব্যয় করে সুপারইয়ট তথা প্রমোদতরি কিনে সমুদ্রে ভেসেছেন।


বিশ্বের শীর্ষ দুই ধনী ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোস এবং আরেক ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন নিজেদের রকেটে চড়ে সোজা মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন। টাকার বিনিময়ে নিজেদের সঙ্গে যাত্রীও নিয়ে গেছেন। এর মাধ্যমে মহাকাশে পর্যটন শুরু হয়েছে বলে মনে করা হয়।


আবার বউ কিংবা বান্ধবীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার কারণেও অন্তত তিন বিলিয়নিয়ার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। তাঁরা হলেন বিল গেটস, ইলন মাস্ক ও জন পলসন।

সার্চ কমিটি গঠনে তিন নাম প্রস্তাব বিকল্পধারার

সার্চ কমিটি গঠনে তিন নাম প্রস্তাব বিকল্পধারার

 

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপে অংশ নিয়ে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছে রাজনৈতিক দল বিকল্পধারা।

সার্চ কমিটি গঠনে তিন নাম প্রস্তাব বিকল্পধারার

রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী।

তিনি জানান, সার্চ কমিটি গঠনের জন্য দেশের তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম সুপারিশ করেছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ইসি গঠন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থায়ী আইন থাকার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে। আমরা দাবি করেছি, সকল দলের সমন্বয়ের আইন করতে হবে।


এছাড়া স্থায়ী আইন করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আরও দুই প্রস্তাব দিয়েছে বিকল্পধারা। প্রস্তাব দুটি হচ্ছে-

১. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সার্চ কমিটির কাছে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করবেন।

২. প্রস্তাবিত নাম থেকে সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য নাম (প্রয়োজনীয় সংখ্যক) মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবেন

এর আগে রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপে অংশ নেয় গণফোরাম। মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানায় গণফোরাম। 
বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা নয় বরং সহযোগিতা করছে সরকার: কাদের

বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা নয় বরং সহযোগিতা করছে সরকার: কাদের

 

বিএনপির কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে না বরং সহযোগিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের

সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দায় সরকারের ওপর চাপানো তাদের স্বভাব।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নিয়েই তাদের রাজনীতি। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে।
 
সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে বলে বিএনপি নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপি নেতারা এতটাই অন্ধ ও বধির যে, বহু আগেই জনগণ তাদের পতন ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে যা তারা শুনতে পায় না।
 
আন্দোলন আর নির্বাচনে চরম ব্যর্থতায় কি তাদের শেষ ঘণ্টা বাজেনি?  বিএনপির কথা ও কাজে মিল নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতিই তাদের রাজনীতির অন্যতম প্রধান বাধা।
 

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ কী চায়, কী চায় না তার মানদণ্ড হচ্ছে নির্বাচন। একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। বলেন, নির্বাচনের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো চোরাগলি খোঁজা গণতন্ত্রে সংবিধান সম্মত নয়। এসব অপতৎপরতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থান করছে।
 
এ সময় বিএনপিকে কথামালার ফেনায়িত তরঙ্গ না তুলে নির্বাচনমুখী হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, জনগণ চাইলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে।
 
বিএনপির বিভিন্ন জেলার কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে বলে দলটির নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের মিথ্যাচার সর্বজনবিদিত। বাধা তো নয়ই বরং সরকার সহযোগিতা করেছে তাদের। সরকার সহযোগিতা না করলে এ পর্যন্ত ৩২ জেলায় সমাবেশ করতে পারতো? আসলে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দায় সরকারের ওপর চাপানো তাদের স্বভাব। 
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জার্মানির সহযোগিতা কামনা |

এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জার্মানির সহযোগিতা কামনা |


বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ট্রেড রিলেটেড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি এবং জিএসপি ইস্যুতে জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়  জার্মানির সহযোগিতা কামনা
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মানির রাষ্ট্রদূত একিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সহযোগিতা কামনা করেন। 

এ সময় বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দেশে হিসেবে জার্মানিকে অভিনন্দন জানিয়ে টিপু মুনশি জার্মান বাজারে বাংলাদেশের আরও অধিক পণ্য সহজে প্রবেশের অনুরোধ করেন।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব গ্রীন ফ্যাক্টরি স্থাপন, শ্রমিক কল্যাণসহ অন্যান্য কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করতে গিয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যায্যমূল্য প্রদানের জন্য জার্মানির সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

আরও পড়ুন: পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ: ইপিবি


এছাড়া তিনি জার্মানির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং ৩৩টি হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান।

জার্মান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় বিশ্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পজিটিভ ইমেজ স্থাপনে জার্মানির সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশে জার্মানির উন্নয়ন সহযোগিতা ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও শক্তিশালী হবে বলে রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন।